৩০শে অক্টোবর ,১৯৮৭
সবিনয় নিবেদন
গত শনিবার রাতে পালাম্যু ন্যাশনাল পার্ক -এর মধ্যে আপনি যাদের হাতির দলের হাত থেকে উদ্বার করে বেতলা পৌঁছে দিয়েছিলেন আপনারই জীপে করে, আমি সেই দলেরই একজন।
আমাদের সকলের হয়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবার জন্যেই এই চিঠি। আপনি না থাকলে আমাদের সকলের অবস্থা হয়তো চিত্রপরিচালক তপন সিংহের মতোই হতো । আপনি হঠাৎ অকুস্থলে এসে না পড়লে সে রাতে আমরা হাতির হাত থেকে বাঁচলেও হয়তো শীতের হাতেই নির্ঘাত মারা যেতাম । সত্যিই আমরা কৃতজ্ঞ । বাঃ বাঃ । আপনাদের ওখানে শীত বড় সাংঘাতিক।
আপনার ঠিকানা জানি না । চলে যাবার সময় শুধু নামটিই জানিয়েছিলেন । বনবিভাগেই যে চাকুরি করেন শুধুমাত্র এই অনুমানটুকু সম্বল করেই চিঠি লিখছি ।পাবেন কি না জানি না ।
একটু বিরক্তও করব। আপনার জীপে আমার একটি ব্যাগ কি ফেলে এসেছিলাম? অফ-হোয়াইট-রংঙ্গা একটি ব্যাগ? চামড়ার। কাঁধে-ঝোলানো। মধ্যে কিছু টুকিটাকি জিনিস ছিলো আমার । আর দুটি বইও। একটি বাংলা বই ।অমিয়নাথ সান্যাল মশায়ের “স্মৃতির অতলে”।অন্যটি আর্নেষ্ট হেমিংওয়ের জীবনী । কালোর্স বেকার-এর লেখা ।ব্যাগটি অন্য কোথায়ও হারিয়ে থাকতে পারি ।
আপনার জীপে যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে এ নিয়ে অযথা বিব্রত হবেন না। আমিই বরং অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে ।
আমার পুরো ঠিকানা লেখা কার্ড সংগে দিলাম । ব্যাগটি যে পেয়েছেন সেই খবরটুকু আপনার কাছ থেকে পেলে আমি ওটি আনিয়ে নেবার বন্দোবস্ত করব। এই চিঠি যদি আদৌ পান তবে প্রাপ্তি সংবাদটুকু জানালে খুবই খুশি হব ।
-নমস্কারান্তে
ঋতি রায়, বালীগঞ্জ প্লেস, কলকাতা
শ্রী রাজর্ষি বসু
C/0 ডি,এফ,ও টাইগার প্রজেক্ট,পালাম্যু
ন্যাশ্নাল পার্ক,ডালটনগঞ্জ,
জেলা-পালাম্যু,বিহার