বিলুপ্ত শৈশব

ঝালঝাপ্পা ডুব দিয়েছে কিতকিত টাও হারিয়ে গেছে
কানামাছির যুগ নেই আর আদুর টুকি বড়ই মিছে।
সব ভুলেছে বাচ্চাগুলি
ভুবনডাঙ্গার নয়ানজুলি
এখন শুধু বইয়ের চাপে
ডেসকে বসে ফাটায় খুলি।
জানতে হবে বিশ্ব গোটা অঙ্ক ফিজিক্স জিওগ্রাফি
দেখলে আকাশ তারায় ভরা ফস্কে যাবে হাতের ট্রফি।
লাগলে ভাল রঙ বেরঙের
পাখনা মেলা প্রজাপতি
বকবে বাবা চোখ রাঙিয়ে
জীবন যুদ্ধে বড়ই ক্ষতি।
তাও যে লাগে ভীষণ আপন আকাশ বাতাস টিয়া পাখি
সময় কোথায় দেখবে সে সব কেমনে দেয় মাকে ফাঁকি?
কানটি ধরে বসিয়ে দেবে
অ্যালজেব্রায় এক্স খুঁজে দে
ইতিহাসের চচ্চড়িতে
হিউ-এন-সাং এর বাপ ছিল কে?
‘এসব জেনে কাজ কি আমার দাও না ছেড়ে সোনা মাম্মা’
আর্জি টা তার খারিজ হোল পরল পিঠে কিল দুমদাম।
দুরন্ত বেগ ছুটছে জীবন
কম্পিটিশন কম্পিটিশন
মেয়ের কাঁধে বইয়ের বোঝা
র্যা ঙ্ক করতে ফোকাস ভীষণ।
নজর দেয়ার সময় কোথায় স্কুলের সাথে পাঁচ টিউশন
বঙ্গ ছেড়ে সাহেব হবে বুনোট হবে বিগ ফিউশন।
ওপর ক্লাসের দিদিরা সব
র্যা গিং করে মনের সুখে
মা বাবাকেও যায়না বলা
দিন কাটে তার বড়ই দুখে।
ঐন্দ্রিলা কাঁদছে হাপুস চাপের মুখে করবে কি সে?
আশার আলো মিটিয়ে দিয়ে প্রান নিয়েছে যমের পিসে?
রাত ক্লান্ত দিন ক্লান্ত এমন হবে কেবা জানত
ছোট্ট ফুলের প্রাণটা নিয়ে চাপটা এখন খুব শান্ত।
এমন কত ঐন্দ্রিলা পিঠের বোঝায় পরছে নুয়ে
আর কি হলে বুঝবে তোমরা বাকি গুলোর প্রানটা নিয়ে?
দাও ছেড়ে দাও তিলতি গুলো
যাক উড়ে যাক ফুলের পানে
বাঁচার মন্ত্র শিখুক তারা
ভরুক জীবন ভ্রমর গানে।