যেওনা চলে

চলে যদি যাও সে বড় মন্দ হবে।
যে বকুল কুঁড়ি তোমার আঁচলে জড়ানো আছে,
থোকায় থোকায় নাচবে গাছে;
সেই অভিলাষ অকালে ঝরে কালের খাঁচায় বন্ধ হবে।
তবু যদি যাও চলে, সে বড় মন্দ হবে।

ল্যাজঝোলাটা রোজ এই একই সময়ে ফেরে বাসায়;
পাখা ঝাপটে তোমার নজর টানার করে অভিনয়।
তৎক্ষণাৎ চকিতে সামান্য দৃষ্টি বিনিময় হয়;
লাজুক চোখে ঘাড় ঘুরিয়ে ফের অনন্তে পাখা ভাসায়।
তুমি গেলে, বাসায় ফেরার আগে তার মনেও যে দন্ধ হবে।
তাও যদি যাও চলে, সে বড় মন্দ হবে।

নদীর মতো দুচোখ নিয়ে ব্যাল্‌কনি তে দাঁড়াও;
আবির মাখা রোদ ধরতে কামরাঙ্গা হাত বাড়াও।
কোমল গরম রস্মি নামে কাঁঠাল পাতা বেয়ে;
জুড়ায় তার উষ্ণ হৃদয় তোমার নরম ছোঁয়া পেয়ে;
তোমায় যদি না দেখতে পায়, তারও তো সন্ধ হবে।
তবুও যদি চলেই যাও, সে বড়ই মন্দ হবে।

কোনদিনও হয়নি বলা, আমি এ পথেই রোজ আসি
পাওনা দেখতে? সেতো জানি, তবুও আমি হাসি।
মনের চুঁড়ায় ঘর বেঁধেছি, রেখেছি কপাট খুলে
গড়েছি বাগান আকাশ জুড়ে, টিউলিপ নাচে দুলে দুলে।
পরশ খানি দিয়েই দেখো, আমার গায়েও তোমার গন্ধ হবে।
মাথার দিব্যি, যেওনা চলে, সে যে বড়ই মন্দ হবে।