অনিন্দিতার জন্যে আরো একটি

আমি হবো একটি প্রজাপতি, মাঠে মাঠে ঘুরব খানিক, ক্ষণিকের করব আরতি, সূর্যাস্তের করব বন্দনা। তারপর হারাব আনমনা। আমি হবো একটি মাছরাঙা, গাছে গাছে উড়ব খানিক, দেখব পুকুর আর ডাঙা আনন্দিত দুপুর-রোদ্দুরে। তারপর উড়ে যাব দূরে। কত প্রজাপতি, পাখি এলো। আমাদের ব্যাপ্ত পৃথিবীতে। কিছুক্ষণ থেকে-চলে গেল। কে তাদের, বলো, মনে রাখে? তোমরাও পাবে না আমাকে।।

অনিবার্য সুবর্ণরেখা

তখন আমি চট্টগ্রাম কলেজের ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসের প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রায় নিয়মিত চট্টগ্রাম নিউমার্কেটে যাই এবং প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘বইঘর’-এর দোকানটিতে একবার হলেও ঢুঁ মারি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেলফে সাজানো বইগুলোর দিকে তাকাই। কোনোটা হাতে তুলে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টাই, কয়েক ছত্র পড়ি, আবার রেখে দেই। একদিন একটা বই হাতে তুলে নিয়ে পড়ছি। পড়ছি তো পড়ছিই, ওটা রাখার আর […]

রাত্রি

রাত্রি যতো বাড়তে থাকে, ততো আত্মমগ্ন হ’তে থাকি। ততোই সুড়ঙ্গ কেটে যেতে থাকি নিজের ভিতরে। হারানো টুকরোগুলো খুঁজে পাই। ততোই একাকী। আত্মা অব্দি কেঁদে ওঠে অদ্ভূত করুণ কন্ঠস্বরে। আশ্চর্য মধুর শব্দে হেসে ওঠে। কিন্তু জানি, পৃথিবীতে হাসা অসম্ভব। হাসি আনন্দের জন্যে নয়__প্রকৃতির চলিষ্ণুতায় ফুল ফোটে। রাত্রি যতো বাড়তে থাকে, হ’তে থাকি গভীর নীরব। ___কেন জন্ম […]

তমসা নদীর তীরে

দিন আসে, দিন যায়। গড়াতে-গড়াতে দিন যায়। রাত্রি আসে, রাত্রি যায়। সপ্তা, মাস, ক্রমিক ঋতুর অবিরল রেলোয়ে চলেছে। শুধু আমি জন্মহীন মৃত্যুর দিকে যাচ্ছি, অনিবারণীয়। পর-পর মলিন ও উজ্জ্বল আভায় ভ’রে যাচ্ছে চারপাশ। কেবল আমারই অর্কেস্টার সাত সুর নিভে আসছে সময়ের তীক্ষ্ম আঁচড়ে। কখন অজ্ঞাতে একটি-দুটি রুপা জাগছে চুলের শিখরে। কিন্তু গাছে-গাছে ঘুরে-ঘুরে আসে যায় […]

সত্যের মতো বদমাশ

তারা দুজন, মা আর ছেলে : মা-র মুখমণ্ডল তৈলাক্ত করুণ ও লম্বিত আর ছেলেটার গোলমুখ বিস্ময় আনন্দ ও কৌতূহলে ভরা, তারা দুজন এক মুষ্টি অথচ সমুদ্রসমান এই গ্রহের মেলার মধ্যে এসে ঢুকলো। এতো লোকজন, আলো হাসি-গান, বাঁশি বাজছে ঐদিকে, কুকী মেয়েদের নাচ দেখার জন্য সাতজন মহাহল্লা করতে করতে পরস্পরের পিঠে চড়ে চলে গেলো। তার পাশ […]