যাদের বেলায় যা প্রযোজ্য

গ্রন্থকীটের কুটকখানি
শুনে আমার পিত্তি জ্বলে।
কবিই কবির সত্য-স্বজন;
তাদের সাথে যুক্ত হয়েই
মুক্তি খুঁজি মদ্যপানে।
যদিও বই ওরাও কেনে
তবুও আমার চিত্ত ঋণী
অন্য কোথা, অন্য খানে।
পা-িত্যের খ্যাতা পোড়াই
আপন তালে তাল মিলিয়ে
আমি নাচি আমার টানে।
‘অমরত্ব কবির ভৃত্য’
জেনেও প-িত যখন নৃত্য
করেন আমি প্রাতঃকৃত্য
সাঙ্গ করি।
নাওজুবিল্লাহ, হরি-হরি
‘প্রাতঃকৃত্য’ শব্দ নিয়ে
উঠবে জাতি কূটতর্ক,
বিশেষ করে সমালোচক
এবং কাব্য-তাত্তি্বকেরা
সিঁটকাবে নাক।
আপতত সে-কথা থাক
সঙ্গোপনে সিঁকেয় তোলা
এ-কথা তো সবাই জানেন
তোলা-দুধে বাঁচে না পোলা।
তার জন্য চাই মাতৃদুগ্ধ
আত্মোত্থিত অমৃতজ্ঞান।
নও_ ব্রাহ্মণ সমালোচক
আর খচ্চরের সভায় বসে
নীরবে যে তর্ক শুনি
কবি আত্মার কোন অতলে
পাশে যে তার কলুষ-গ্লানি
অন্যে না হোক, রাহমান ভাই,
আপনি জানেন; আমি জানি।
ওরা নিত্য বামন হাতে
হিমালয়ের শৃঙ্গ মাপে
আমি বসে কবির মতো
পুড়ি নিত্য মনস্তাপে।