বজ্রমূর্খের তর্ক

আজকে শুক্কুরবার । মাইনে পেয়েচি । বোধায় শরতকালের পুন্নিমে।

পাতলা মেঘের মধ্যে জ্যোসনা খেলছে । মাঝরাত । রাস্তাঘাট ফাঁকা।

সামান্য টেনিচি তাড়ি । গাইচি গুনগুন করে অতুলপ্রসাদ ।

কোথাও কিচ্ছু নেই হঠাৎ কুচকুচে কালো নেড়িকুকুরের দল

ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। তাড়া করে । বেঘোরে দৌড়ুতে থাকি ।

বুঝতে পারিনি আগে । রাজপথে এসে হুঁশ হয় ।

মাইনেটা পড়েচে কোথাও হাত থেকে । কী করে ফিরব বাড়ি ?

কেউ তো বিশ্বাস করবে না । ভাববে খেলেচে রেস,

গিয়েচে মাগির বাসা, বন্ধুদের সাথে নিয়ে বেলেল্লা করেচে ।

বন্ধুবান্ধব কেউ নেই । রেসও খেলি না কতকাল ।

অন্য স্ত্রীলোকের খোলা বুকে হাত শেষ কবে দিয়েচি যে

ভুলে গেচি । জানি না বিশ্বাস করে না কেউ কেন !

আমার তো মনে হতে থাকে, যা করিনি সেটাই করিচি বুঝি।

যা কইনি সেকথা বলিচি । তাহলে এ-পুন্নিমের মানে ?

কেন এই মাইনে-পাওয়া ? কেন গান ? কেন তাড়ি ?

 

আবার ঢুকতে হবে রামনোংরা গলির ভেতরে । নির্ঘাত কুকুরগুলো

গন্ধ শুঁকে টের পাবে । ছেঁকে ধরবে চারিদিক থেকে ।

যা হবার হয়ে যাক । আজ শালা এস্পার কিংবা ওস্পার ।