হাজারদুয়ারি –১

রান্না হল? প্রায়। ভরত কোথায়? ওর ভাষা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না? না। সারল্য ভাষার বাধা ভেঙে দেয় যে! ভারি সরল ছেলেটি! কোথায় সে? বাগানে আছে বোধহয়। আমাকে একটা জলচৌকি আর হামনদিস্তা এনে দিতে হবে কিন্তু কাল। দেব, দেব। এত দূর নিয়ে এলাম তোমাকে আর এসব তো… বেশিদূর আর কোথায়? মাত্র শচারেক মাইল তো! শ্ৰী ঘাড় […]

হাজারদুয়ারি-২

০৬. অনেক রাতে ফিরল সেদিন গোপেন। কেন এত রাত হল তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করল না শ্রী। গোপেনই বলল, আমার খোঁজ করতে কেউ এসেছিল? কে? কোনো লোক? না তো! শোনো, আজকে কারখানাতে একটা ঘটনা ঘটেছে। কী? তোমাকে জানিয়ে রাখা দরকার। কী, বল না। আমি একজনকে সাসপেণ্ড করেছি তিন মাসের জন্যে। তার নাম রমেন পাল। তো? […]

হাজারদুয়ারি-৩

১১. জিপের কাছে এসে গোপেন বলল, তুমি বাড়ি যাও। আমি একটু যাব বোসদার বাড়ি। আমাকে নিয়ে যাবে না? কলকাতার বোসদা তো? হ্যাঁ। কলকাতার বোসদাই। কিন্তু তুমি গিয়ে কী করবে? ফ্যামিলি তো আনেননি উনি। অন্য একজন কলিগের সঙ্গে ফ্ল্যাটে শেয়ার করে থাকেন। তা ছাড়া, আমরা তাস খেলব। তুমি তো তাস চেনোই না। না। স্বামী স্ত্রীর কিছু […]

হাজারদুয়ারি-৪

১৬. ঢিক-চুঁই-ই-ই-ই-ই.. একটা আওয়াজ হল। এবং আওয়াজটার সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ি পথের লাল ধুলো যেন পিচকিরির মুখের আবিরের মতো উৎক্ষিপ্ত হয়ে জিপের পেছনে উড়ে গেল। কালু বলল, হল কেলো! যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেতেই সন্ধে হয়। বাইধর বিরক্ত মুখে নামল স্টিয়ারিং ছেড়ে। ভ্রূকুঁচকে বলল, আপনাদের নামতে হবে। টায়ার পাংচার হয়েছে। তুমি ভালো মনে আজ সঙ্গী হওনি গোপেনদা। […]