বিষ

যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা। জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে ক্রমশঃ উঠছে ফুটে ক্ষয়রোগ, রোগের প্রকোপ একদার অন্ধকারে ধর্ম এনে দিয়েছিল আলো, আজ তার কংকালের হাড় আর পঁচা মাংসগুলো ফেরি কোরে ফেরে কিছু স্বার্থাণ্বেষী ফাউল মানুষ- সৃষ্টির অজানা […]

আমি সেই অবহেলা

আমি সেই অবহেলা আমি সেই নতমুখ নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান ভেজা চোখ আমাকে গ্রহন কর উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখ্যান আমি সেই অনিচ্ছা নির্বাসন বুকে নেয়া ঘোলাটে চাঁদ আমাকে আর কী বেদনা দেখাবে তপ্ত শীশার মতন পুড়ে পুড়ে একদিন পাথর হয়েছি শেষে হয়েছি জমাট শিলা তবু সেই পাথরের অন্তর থেকে কেঁদে ওঠে একরাশ […]

এক গ্লাস অন্ধকার হাতে

এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি। শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও- এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি। বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া, বিলুপ্ত হরিণ। মৌসুমী পাখির ঝাঁক পালকের অন্তরালে তুষারের গহন সৌরভ ব’য়ে আর আনে না এখন। দৃশ্যমান প্রযুক্তির জটাজুটে অবরুদ্ব কাল, পূর্ণিমার চাঁদ থেকে ঝ’রে পড়ে সোনালী অসুখ। ডাক শুনে পেছনে তাকাই- কেউ […]

অভিমানের খেয়া

‘এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাত পারিজাতহীন কঠিন পাথরে প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে, নির্মম ক্লেদে মাথা রেখে রাত কেটেছে প্রহর বেলা_ এই খেলা আর কতোকাল আর কতোটা জীবন! কিছুটা তো চাই- হোক ভুল হোক মিথ্যে প্রবোধ, অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই কিছুটা তো চাই, […]

অবেলায় শঙ্খধ্বনি

অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই, কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই। এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেই কিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান। সাহস আমাকে প্ররোচনা দেয় জীবন কিছুটা যাতনা শেখায়, ক্ষুধা ও খরার এই অবেলায় অতোটা ফুলের প্রয়োজন নেই। বুকে ঘৃণা নিয়ে নীলিমার কথা অনাহারে ভোগা মানুষের ব্যথা প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই- করুণাকাতর বিনীত বাহুরা ফিরে […]

মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল

পেছনে তাকালে কেন মূক হয়ে আসে ভাষা ! মনে পড়ে সেই সব দুপুরের জলাভূমি, সেই সব বেতফল, বকুল কুড়ানো ভোর, আহা সেই রাঙাদির আঁচলতলের উত্তাপ, মনে পড়ে……. মনে পড়ে, বন্দরে সেই সব কালোরাত, ঈগলের মতো ডানা সেই বিশাল গভীর রাতে, একটি কিশোর এসে চুপি চুপি সাগরের কূলে দাঁড়াতো একাকী তন্ময় চোখে তার রাশি রাশি বিস্ময় […]

গুচ্ছ কবিতা

১. থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক একলা থাকার খুব দুপুরে একটি ঘুঘু ডাকুক ২. দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা বুঝতে কেন পাছো না ছাই মানুষ আমি, যন্ত্র না! ৩. চোখ কেড়েছে চোখ উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক।

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে

আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে। ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম তেমনি তোমার নিবিড় চলা মরমের মূল পথ ধরে। পুষে রাখে যেমন ঝিনুক, খোলসের আবরনে মুক্তোর সুখ তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া ভিতরের নীল বন্দরে। ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো দিও তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটা রে। […]

কথা ছিলো সুবিনয়

কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত, রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখে রাখালিয়া বাজাবে বিশদ। কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে বোসবে না, চিত্রর তরুন হরিনেরা সহসাই হয়ে উঠবে না রপ্তানিযোগ্য চামড়ার প্যাকেট। কথা ছিলো , শিশু হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পদের নাম। নদীর চুলের রেখা ধ‌‌রে হেঁটে হেঁটে যাবে এক মগ্ন ভগীরথ, কথা […]

উল্টো ঘুড়ি

এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন! বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা- দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি, কোন বেদনার বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত? সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি, সহজে ভুলিনা কিছু- না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি, যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি। সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি সহজে […]