দেখে এসো একবার

ছাদের কোনায় টবের গোলাপটা মনে আছে?
তোমাকে অভিবাদন জানাতে দুলে উঠেছিল মন্দ্র।
কোমল ওষ্ঠে মাখিয়ে দিয়েছিল পরাগ;
তর্জনীতে তোমার বিঁধে গিয়েছিল কুসুম রক্ষীর কাঁটা…
তুমি কিন্তু এক ফোঁটাও রাগ করনি।
এখন সে বাক্সবন্দী…
বটানি খাতার পাতায় শুষ্ক।
পারো যদি, দেখে এসো একবার…

গ্রিলের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসা সেই বেড়াল ছানাটা মনে পরে?
নির্ভাবনায় এসে শুয়ে পরেছিল সিল্কের আঁচলে।
অপার সুখে চেটে দিয়েছিল তোমার গাল।
তোমার কিন্তু একটুও গা ঘিনঘিন করেনি।
আজ সাত সন্তানের জননী সে অপুষ্টিতে মৃত্যুর অপেক্ষায়।
পারো যদি, দেখে এসো একবার…

সেই মন মনে পরে তোমার?
সারারাত বুকে তার তোমার চুলের ওজন।
উত্তুরে হাওয়া রুখে দিয়েছিল
গভীর আলিঙ্গনে; ময়ূরকণ্ঠী রাত ছিল বিনিদ্র।
তোমার সুবাস এখনও এবাড়ির নিশ্বাসে।
এখানে এসো না তুমি…
এখন সে আর নেই

কড়া নাড়লেও নাড়তে পারো…
এক আধা বৃদ্ধ দ্বার খুলে বলবে
বাড়ি ফিরে যাও –
তাকে পেলেও পেতে পারো তোমার অন্ধ গলির ফুটপাথে,
হয়তো অপেক্ষায় প্রহর কাটছে তার,
হয়তো তোমার ছায়ার স্পর্শে কৃতার্থ হবে।
পারো যদি, দেখে এসো একবার…