বাইরে আনো নিজেকে

ভিরু, চলৎশক্তিহীন যে নারীর রূপ লেপটে আছো।
সে তুমি নও।
যে ব্যস্ত, অফিস ফেরত ক্লান্ত, রান্নার আঁচে তপ্ত
এলিয়ে পরো বিছানায়;
এ তুমি তো সে তুমি নও।

একদিন তন্বী হরিণীর মতো দাপিয়ে বেড়াতে ক্লাসরুম।
ঝোরার মতো ছলকে বেরত তোমার হাসি।
অন্যায়ের প্রতিবাদে আগুনের হল্কা ছুটত তোমার শব্দে।
সেই তোমাকে চেয়েছিলাম পাগলপারা আমি।
এ তুমি কিছুতেই সে তুমি নও।

তোমার পলাশ পাঁপড়ি ঠোঁটের আবডালে
জড়িয়ে রেখেছ যে লাল টিপ বালিকা;
তাকে বাইরে আনো।
তোমার শান্ত নদী হৃদয়ের অতলে
লুকনো যে মেঘবালিকা;
তাকে বাইরে আনো।
উষ্ণ নিশ্বাসে লুকনো তোমার প্রতিবাদ
তাকেও বাইরে আনো।

তোমার ফাগুন আবিরে রাঙাবো জীবন।
অনল স্পর্শে ঋদ্ধ করব আমার আত্মা।
তারপর অনেকক্ষণ ভিজবো তোমার আলিঙ্গন বৃষ্টিতে।