মনে হয় এই রকম কথা আগেও লিখেছি।
আমি যখন এসএনএস শুরু করেছি তখন জাকারবাগ স্কুলে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাকারবাগ প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদ হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার হ্যাক করে যাত্রা শুরু তার…. বিস্তারিত জানতে হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নামে একটা মুভি আছে দেখে নিতে পারেন।
আমাদের প্রথম যুগের এসএনএস এর সাথে যারা পরিচিত তারা এসএনএস এর বেসিক বিষয় মেনে চলেন।
এই গুলো আপনার প্রাইভেসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ফেসবুকে আপনার বন্ধুর ষ্টাটাস গুলো গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন।
এদের মধ্যে কেউ কেউ কখনো তার ব্যক্তিগত কোন তথ্য শেয়ার করে না।
ধরা যাক আপনি আপনার প্রোফাইল এ আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করছেন। কিন্তু আমি করিনি ফেবু আমাকে বারবার বলবে তোমার অমুক অমুক বন্ধু ফেবু প্রোফাইল এ মোবাইল নম্বর যোগ করছে।
জন্মদিনও সেরকম।
আপনি যেমন নিজের কথা পরিবারের কথা রাখডাক না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন অন্যের ব্যাপারে আপনার আপত্তির কারন দেখি না। আপনি যেমন নিজের স্ত্রী, স্বামী, সন্তান, মা বাবার কথা ফেসবুক এ শেয়ার করতে পারেন অন্যেরও সেই অধিকার আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তিনি আপনার ডাটা বা সার্ভার ব্যবহার করছে না। সুতরাং অহেতুক বিব্রতবোধ করে নিজেকে হাস্যকর করার মানে নেই।
আমাদের সেই যুগের এসএনএস এ ভয়েস চ্যাট ই বেশি আনন্দের ছিল। ভয়েস চ্যাট করার সময় আমি একটা কথা সব সময় বলতাম ” অন্যের মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই,কিন্তু নিজের কানে আংগুল দিতে পারি শুনতে না চাইলে!”
ফেসবুক এ যাদের লেখা ভালো লাগে না, সম্ভব হলে আনফলো করি।
ফেসবুক একটা বিনোদন মাধ্যম। এখানে কেউ নীতি শিখতে আসে না। মজা করতে আসে। আমি নিজেও এখানে মজা করতে আসি, হয়তো আপনিও।
অন্যের ষ্টাটাস কে উপহাস করার আগে নিজের টাইম লাইনে গিয়ে অন্যের চোখে আপনার ষ্টাটাস গুলো দেখুন।দেখলে বুঝবেন আপনি যাকে নিয়ে উপহাস করছেন আপনার ষ্টাটাস এও সেরকম অনেক কিছু আছে যা অন্যের চোখেও হাস্যকর!
ফেসবুক এ থাকুন।
থাকলে আপনারও লাভ,এমনকি ফেসবুক কতৃপক্ষেরও!