অসমাপ্ত কবিতা

মাননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি? ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব, আপনাকে আমি সভাপতি মানি না। তবে কি রবীন্দ্রনাথ? সুভাষচন্দ্র বসু? হিটলার? মাও সে তুং? না, কেউ না, আমি কাউকে মানি না, আমি নিজে সভাপতি এই মহতী সভার। মাউথপিস আমার হাতে এখন, আমি যা বলবো আপনারা তাই শুনবেন। উপস্থিত সুধীবৃন্দ, আমার সংগ্রামী বোনেরা, (একজন অবশ্য […]

দু'জনের ভাত

গত রাত্রির বাসি ভাত খেতে খেতে মনে কি পড়ে না? পড়ে। ভালো কি বাসি না? বাসি। শ্লথ টেপ থেকে সারা দিন জল ঝরে, সেই বেনোজলে এঁটো মুখ ধুয়ে আসি। গত রাত্রির বাসি ভাত খেতে খেতে প্রেম কি জাগে না? জাগে। কিছু কি বলি না? বলি। তিতাস শিখায় যতটুকু তাপ লাগে, অনুতাপে আমি তার চেয়ে বেশি […]

নাম দিয়েছি ভালোবাসা

আমরা মিশিনি ভালোবেসে সব মানুষ যেভাবে মেশে, আমরা গিয়েছি প্রাজ্ঞ আঁধারে না-জানার টানে ভেসে। ভাসতে ভাসতে আমরা ভিড়িনি যেখানে নদীর তীর, বুনোবাসনার উদ্বেল স্রোতে আশ্লেষে অস্থির। আমরা দুজনে রচনা করেছি একে অপরের ক্ষতি, প্রবাসী প্রেমের পাথরে গড়েছি অন্ধ অমরাবতী। আমরা মিশিনি বিহবলতায় শুক্রে-শোণিতে-স্বেদে, আমাদের প্রেম পূর্ণ হয়েছে বেদনায় বিচ্ছেদে

পৃথিবী

তুমি ডেকেছিলে, আমি চলে এসেছিলাম একা। কোনো কিছু সঙ্গে নিইনি; সঙ্গে করে নিইনি পানীয়, তিল-তিসি-তামা বা বিছানা বালিশ, তুমি বলেছিলে সব পাওয়া যাবে, __এ শহর নেশা ও নারীর। তুমি ডেকেছিলে, জননীর কোমল বিছানা ছেড়ে চলে এসেছিলাম, শুধু তোমার ডাকে। পেছন থেকে অদৃশ্য নিয়তি এসে পাপের পিচ্ছিল লেজ টেনে ধরেছিল। সর্বশেষ স্পর্শের আনন্দে উন্মাতাল মায়ের বিছানা […]

চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা

চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা নদীর জল তোমাকে যেভাবে পেয়েছে আমি সেভাবে পাই নি! লাক্স সাবান যেভাবে তোমাকে ছুঁয়েছে আমি সেভাবে ছুঁইনি। মেডলিন লিপস্টিক যেভাবে তোমাকে চুমু খেয়েছে আমি সে সুযোগ পাই নি। প্রসাধন ঘরের চারদেয়াল তোমাকে যেভাবে দেখেছে আমি সেভাবে তোমাকে দেখিনি। গাঢ় অন্ধকার যেভাবে তোমাকে আলিঙ্গন করেছে আমি তো তা পারি নি। দিনের আলো […]

গভর্মেন্টের টাকা

আম উঠেছে জাম উঠেছে কাঁঠাল পাকা পাকা কিন্তু কিছুই কেনা যাচ্ছে না পকেটে নেই টাকা। কোথায় পাবো টাকা কোথায় গেছে টাকা বাবা দিলেন ধমক, পকেট আমার ফাঁকা। মায়ের কথা কি আর বলবো, টাকার কথা শুনে জ্বলে উঠলেন তেল বেগুনে, চুরি করবো নাকি। অজ্ঞত্য তার কাকা ছিলেন বাকি খোকন গেল কাকার কাছে ছুটি বায়না শুনে কাকা […]

একটি হারানো প্রেম

তুমি যখন ফুল কুড়াতে যেতে পুকুর-পাড়ে বকুল গাছের তলে, আমি তোমায় ঝরা বকুল সেজে টেনে নিতেম পুকুরভরা জলে। তুমি বুঝতে পারতে না সেই খেলা, বকুলবেশে ডাক দিয়েছে কে যে! তখন তুমি সাঁতারও জানতে না। তোমার প্রণয় ভিক্ষা পাব ভেবে, আমি তোমায় দীক্ষা দিয়েছিলাম। তুমি এখন নিজেই বকুল গাছ, তৈরি হচ্ছো ফুল ফোটাবে বলে। তাইতো তুমি […]

পুনশ্চ সোনার তরী

আকাশ আড়াল করা মেঘ, আষাঢ়ের জলভারে নত। সদ্য ফোঁটা পদ্ম সরোভর-, নদী-নালা,খাল-বিল যতদূর চোখ যায়, একাকার সমুদ্রের মতো । সুমিষ্টসুবর্ণফলে পূর্ণ জন্মভুমি; এ এক মধুর ঋতু! নামটাও ভারী সুন্দর,বর্ষা। আম-জাম-কাঁঠালের পর্সা। জন্মসুত্রে এ ঋতু আমার। ভরা নদী ক্ষুরধারা,খরপরশা।