কবির জন্মদিনে শুভেচ্ছা

১১ জুলাই ২০১৫ আল মাহমুদের ৮০তম জন্মদিন আল মাহমুদ কবি, পা থেকে নখ পর্যন্ত। তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন। প্রায় ২০ বছর আগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের একটি অনুষ্ঠানে তার সম্পর্কে বলেছিলাম, তিনি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ জীবিত কবি। আমি অকপটে মনের কথাটিই বলেছিলাম। ঝুঁকি নিয়েই বলেছিলাম। আগামী কাল তার জন্মদিন। তাকে অভিনন্দন। তার যে কবিতাটি […]

শারদীয়

শাদা কাগজের ওপর রেগে যাই, সাড়ে চুয়াত্তরে এসে বাক্যালাপে মেতে ওঠে অসমাপ্ত পদ্যগুলো, স্মৃতিরাশি শাদা মেঘমালার চেয়েও অধিক এলোমেলো। নবীন টাটকা সবুজে সদ্য ছানি-কাটা চোখ ফেলি এখনও আশ্বাস দেয় বৃক্ষ, তৃণ, পুষ্প আর পাতা… রঙিন শাড়িতে মোড়া কপালে সিঁদুর নিয়ে কেউ নেই এক মাল্লা নাওয়ে, ট্রলার থেকে নামে কয়েকটি জিন্স ও টি শার্ট এর মাঝে […]

আমি কান পেতে রই

সদ্য ছানি-কাটা চোখে সর্বত্র বিছহি দৃষ্টি, একটিও আমগাছ পড়ে না নজরে। আমানির স্বাদ ভুলে গেছে এই জনপদ। শেকড়ের কাছে যেতে নেই, যেতে নেই সিঁড়ির প্রথম ধাপে— জন্মচিহ্ন মুছে দিতে কত না প্রয়াস, কত ব্যর্থ আয়োজন ছিল, আজও আছে এই ধারাবাহিকতা ক্ষুধার মতোই আজও টিকে আছে শহরে ও গ্রামে প্রতিমার ভাঙা টুকরো অর্ধদগ্ধ বাস-টেম্পো এলোমেলো মানুষের […]

আনন্দ খোঁজে মন_ সারাক্ষণ

আনন্দ খোঁজে মন সারাক্ষণ

আসলে মানুষ আনন্দের খোঁজ দীর্ঘদিন ধরেই করছে। আনন্দ এবং শান্তি এ ধারণাগুলো অনেকটাই আমাদের এ অঞ্চলের। হয়তো এশীয়ই। বরং সুখ, ফুর্তি, বিনোদন বা যাকে বলে প্লেজার  এগুলো পশ্চিমারা খুঁজেছে। তারা পেয়েছেও কিছু। কিন্তু শান্তি এই শব্দটিকে টিএস এলিয়ট শান্তিই রেখেছিলেন, পিস্ (peace)করেননি। আনন্দ শব্দটির ক্ষেত্রেও তাই। এর কারণ আছে। যেমন অভিমান শব্দটির ভালো ইংরেজি শব্দ […]

আল মাহমুদ

আল মাহমুদ কবিতার সঙ্গে বসবাস

আল মাহমুদের কবিতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার অনেক পরে তার সঙ্গে আলাপ এবং পরিচয়। আমি যখন খুব তাস খেলতাম [এখনও সুযোগ পেলে খেলি], সে সময় আল মাহমুদের ‘ব্রে’ নামে একটি কবিতা পড়েছিলাম। কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এ মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না, কবিতাটি পড়ে আমি কেঁপে উঠেছিলাম। তাস নিয়ে যে কবিতা লেখা যায়, এটা আমার জানা […]

রিপোর্ট ১৯৭১

প্রাচ্যের গানের মতো শোকাহত, কম্পিত, চঞ্চল বেগবতী তটিনীর মতো স্নিগ্ধ, মনোরম আমাদের নারীদের কথা বলি, শোনো। এ-সব রহস্যময়ী রমণীরা পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনে বৃক্ষের আড়ালে স’রে যায়- বেড়ার ফোঁকড় দিয়ে নিজের রন্ধনে তৃপ্ত অতিথির প্রসন্ন ভোজন দেখে শুধু মুখ টিপে হাসে। প্রথম পোয়াতী লজ্জায় অনন্ত হ’য়ে কোঁচরে ভরেন অনুজের সংগৃহীত কাঁচা আম, পেয়ারা, চালিতা- সূর্য্যকেও পর্দা […]

প্রথম কবি তুমি, প্রথম বিদ্রোহী

মাত্র পা রেখেছ কলেজে সেই বার, শব্দ দিয়ে গাঁথো পূর্ব সীমান্তে সাহসী ‘সীমান্ত’। দ্বিজাতিতত্ত্বের লোমশ কালো থাবা শ্যামল সুন্দর সোনার বাংলাকে করেছে তছনছ, গ্রাম ও জনপদে ভীতির সংসার, কেবল হাহাকার। টেবিলে মোমবাতি কোমল কাঁপা আলো বাহিরে বৃষ্টির সুরেলা রিমঝিম_ স্মৃতির জানালায় তোমার মৃদু টোকা। রূপার সংসারে অতিথি সজ্জন শিল্পী কতজন হিসেব রাখিনি তো! স্মরণে ওস্তাদ_ […]

সত্য ফেরারী

কোথায় পালালো সত্য? দুধের বোতলে, ভাতের হাঁড়িতে! নেই তো রেষ্টুরেন্টে, হোটেলে, সেলুনে, গ্রন্থাগারের গভীর গন্ধে, টেলিভিশনে বা সিনেমা, বেতারে, নৌকার খোলে, সাপের ঝাঁপিতে নেই তো। গুড়ের কলসি, বিষের কৌটো, চিনির বয়াম, বাজারের ব্যাগ, সিগারেট কেস, পানের ডিব্বা, জর্দার শিশি, লক্ষ্মীর সরা, নকশী পাতিল, চৌকির তলা, সবি খুঁজলাম, খুঁজে দেখলাম নেই তো! সাংবাদিকের কাঠের ডেস্কে, কাগজে, […]

বারবারা বিডলারকে

বারবারা ভিয়েতনামের উপর তোমার অনুভূতির তরজমা আমি পড়েছি- তোমার হৃদয়ের সুবাতাস আমার গিলে-করা পাঞ্জাবিকে মিছিলে নামিয়েছিল প্রাচ্যের নির্যাতিত মানুষগুলোর জন্যে অসীম দরদ ছিল সে লেখায় আমি তোমার ওই একটি লেখাই পড়েছি আশীর্বাদ করেছিলাম, তোমার সোনার দোয়াত কলম হোক। আমার বড়ো জানতে ইচ্ছে করে বারবারা, তুমি এখন কেমন আছ ? নিশ্চয়ই তুমি ডেট করতে শিখে গেছ। […]

তখন সত্যি মানুষ ছিলাম

নদীর জলে আগুন ছিল আগুন ছিল বৃষ্টিতে আগুন ছিল বীরাঙ্গনার উদাস করা দৃষ্টিতে। আগুন ছিল গানের সুরে আগুন ছিল কাব্যে, মরার চোখে আগুন ছিল এ কথা কে ভাববে ? কুকুর-বেড়াল থাবা হাঁকায় ফোঁসে সাপের ফণা শিং কৈ মাছ রুখে দাঁড়ায় জ্বলে বালির কণা। আগুন ছিল মুক্তিসেনার স্বপ্ন-ঢলের বন্যায়- প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে কাঁপছিল সব অন্যায়। এখন […]