তুমি

তুমি অপরুপ, তুমি সৃষ্টির যথেষ্ট পূজা পেয়েছো জীবনে? তুমি শুভ্র, বন্দনীয়, নারীর ভিতরে নারী, আপাতত, একমাত্র তুমি বাথরুম থেকে এলে সিক্ত পায়ে, চরণকমলযুগ চুম্বনে মোছার যোগ্য ছিল- তিন মাইল দুরে আমি ওষ্ঠ খুলে আছি, পূজার ফুলের মতো ওষ্ঠাধর আমি পুরোহিত, দেখো, আমার চামর, বাহু স্বতোৎসার শ্লোক হৃদয় অহিন্দু, মুখ সোমেটিক, প্রেমে ভিন্ন কোপটিক খৃষ্টান আশৈশব […]

হিমযুগ

শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছে কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে- শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোঃস্নার মতো যোনি মধুকূপী ঘাসের মতন রোম, কিছুটা খয়েরি কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে- আমার নিশ্বাস পড়ে দ্রুত, বড়ো ঘাম হয়, মুখে আসে স’তি কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে। নয় ক্রুদ্ধ যুদ্ধ, ঠোঁটে […]

ব্যবধান

৫৬. ব্যবধান অতো বেশ নিকটে এসো না, তুমি পুড়ে যাবে, কিছুটা আড়াল কিছু ব্যবধান থাকা খুব ভালো। বিদ্যুত সুপারিবাহী দু’টি তার বিজ্ঞানসম্মত ভাবে যতোটুকু দূরে থাকে তুমি ঠিক ততোখানি নিরাপদ কাছাকাছি থেকো, সমূহ বিপদ হবে এর বেশী নিকটে এসো না। মানুষ গিয়েছে ভূলে কী কী তার মৌল উপাদান। তাদের ভেতরে আজ বৃক্ষের মতন সেই সহনশীলতা […]

হৃদয়ের ঋণ

৫৫. হৃদয়ের ঋণ আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর, খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী, একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক, ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি আয় মেয়ে গড়ি […]

হিরণবালা

৫৪. হিরণবালা হিরণবালা তোমার কাছে দারুন ঋণী সারা জীবন যেমন ঋণী আব্বা এবং মায়ের কাছে। ফুলের কাছে মৌমাছিরা বায়ুর কাছে নদীর বুকে জলের খেলা যেমন ঋণী খোদার কসম হিরণবালা তোমার কাছে আমিও ঠিক তেমনি ঋণী। তোমার বুকে বুক রেখেছি বলেই আমি পবিত্র আজ তোমার জলে স্নান করেছি বলেই আমি বিশুদ্ধ আজ যৌবনে এই তৃষ্ণা কাতর […]

হিজলতলীর সুখ

৫৩. হিজলতলীর সুখ বলাই বাহুল্য আমি রাজনীতিবিদ নই, সুবক্তাও নই তবু আজ এই সমাবেশে বলবো কয়েক কথা সকলের অনুমতি পেলে। –’বলুন, বলুন’। রঙিন বেলুন দিয়ে মন ভোলানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই, উপস্থিত সুধী, কেউ ভুলে মনেও করবেন না আমি পারমিট, পেঁয়াজ আর পারফিউম ন্যায্যমূল্যে দেবো। –’পেঁয়াজটা পেলে ভালো হত’। আর কতো? যারা দিতো তারা আর […]

সম্প্রদান

৫২. সম্প্রদান ভাদ্রের বর্ধিত আষাঢ়ে সখ্য হয়েছিলো। সে প্রথম, সে আমার শেষ। পথে ও প্রান্তরে, ঘরে, দিতে রাতে, মাসে ও বছরে সমস্ত সাম্রাজ্য জুড়ে সে আষাঢ় অতোটা ভেজাবে আমি ভাবিনি কসম। আমার সকল শ্রমে, মেধা ও মননে নিদারুণ নম্র খননে কী নিপুণ ক্ষত দেখো বানিয়েছে চতুর আষাঢ়। একদিন সব কিছু ছিলো তোর ডাক নামে, পোড়ামুখী […]

শামুক

৫১. শামুক ‘অদ্ভুত, অদ্ভুত’ বলে সমস্বরে চিৎকার করে উঠলেন কিছু লোক। আমি নগরের জ্যেষ্ঠ শামুক একবার একটু নড়েই নতুন ভঙ্গিতে ঠিক গুটিয়ে গেলাম, জলে দ্রাঘিমা জুড়ে যে রকম গুটানো ছিলাম, ছিমছাম একা একা ভেতরে ছিলাম, মানুষের কাছে এসে নতুন মুদ্রায় আমি নির্জন হলাম, একাই ছিলাম আমি পুনরায় একলা হলাম। ২৯.৭.৮০

লাবণ্যের লতা

৫০. লাবণ্যের লতা দুরভিসন্ধির খেলা শেষ হয়ে কোনোদিন দিন যদি আসে, এই দেশে ভালোবেসে বলবে মানুষ, অনন্বিত অসন্তোষ অজারকতার কালে এসে লাবন্যের লকলকে লতা এক খুব কায়ক্লেশে একদিন তুলেছিলো বিনয়াবনত মাথা এতোটুকু ছিলো না দীনতা। অকুলীন এই দিন শেষ হয়ে কোনোদিন দিন যদি আসে, শুভ্রতায় স্নিগ্ধতায় সমুজ্জল মানুষ এদেশে বলবে সূর্যের দিকে ছিলো সেই লতাটির […]

রাডার

৪৯. রাডার একটা কিছু করুন। এভাবে আর কদিন চলে দিন ফুরালে হাসবে লোকে দুঃসময়ে আপনি কিছু বলুন একটা কিছু করুন। চতুর্দিকে ভালোবাসার দারুণ আকাল খেলছে সবাই বেসুর-বেতাল কালো-কঠিন-মর্মান্তিক নষ্ট খেলা, আত্মঘাতী অবহেলো নগর ও গ্রাম গেরস্থালি বনভূমি পাখপাখালি সব পোড়াবে, সময় বড়ো দ্রুত যাচ্ছে ভাল্লাগে না ভাবটা ছেড়ে সত্যি এবার উঠুন একটা কিছু করুন। দিন […]