অপূর্ব নির্মাণ থেকে উঠে আসে ভোরের কোকিল কোকিল, তুমি কি পারো মুছে দিতে সব কলরব? হেলেঞ্চা লতায় কাঁপে শিশিরের বিদায়ী শরীর শিশির, না আমার শৈশব? ভুলে যাওয়া ভালো, কিন্তু কাঁটার মুকুট পরা মৃত্যু তো সে নয়! বৈশাখী আকাশ দেখে গাঢ় হয় টিয়াঠুঁটি আম সবই তো উচ্ছিষ্ট করে রেখে গেলে পেয়েছো কি যা ছিল পাওয়ার? মধ্যজীবনের […]

কতটুকু দূরত্ব? সহস্র আলোকবর্ষ চকিতে পার হয়ে আমি তোমার সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসি তোমার নগ্ন কোমরের কাছে উষ্ণ নিশ্বাস ফেলার আগে অলঙ্কৃত পাড় দিতে ঢাকা অদৃশ্য পায়ের পাতা দুটি বুকের কাছে এনে চুম্বন ও অশ্রুজলে ভেজাতে চাই আমার সাঁইত্রিশ বছরের বুক কাঁপে আমার সাঁইত্রিশ বছরের বাইরের জীবন মিথ্যে হয়ে যায় বহুকাল পর অশ্রু বিস্মৃত […]

আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় না মৃত্যু হয় না- কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়না শরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম। আমার কেউ নাম রখেনি, তিনটে চারটে ছদ্মনামে আমার ভ্রমণ মর্ত্যধীমে, আগুন দেখে আলো ভেবেছি, আলোয় আমার হাত পুড়ে যায় অন্ধকারে মানুষ দেখা সহজ ভেবে ঘূর্ণিমায়ায় অন্ধকারে মিশে থেকেছি কেউ আমাকে শিরোপা দেয়, কেউ দু’চোখে হাজার ছি ছি […]

যেমন উপত্যকা থেকে ফিরে এসেছি বহুবার, পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা হয়নি যেমন হাত অঞ্জলিবদ্ধ করেছি বহুবার, কখনো পার্থনা জানাইনি যেমন নারীর কাছে মৃত্যুকে সমর্পণ করেছিলাম মৃত্যুর কাছে নারীকে যেমন বৃক্ষের কাছে জল্লাদের মতন গিয়েছি কুঠার হাতে উপকথার কাঠুরেকে করেছি উপহাস যেমন মানুষের কাছে আমিও মানুষ সেজে থাকতে চেয়েছিলাম কৃতজ্ঞতার বদলে ফিরিয়ে নিয়েছি মুখ যেমন স্বপ্নের মধ্যে […]

ভেবেছিলাম নিচু করবো না মাথা, তবুও ভেতরের এক কুত্তার বাচ্চা মাঝে মাঝে মসৃণ পায়ের কাছে ঘষতে চায় মুখ, জানি তো অসীমে ভাসিয়েছি আমার আত্মার শাদা পায়রা দূত, বলেছি মৃত্যুর চেয়েও সাচ্চা মানুষের মতো বেঁচে থঅকা- তবু তার দু’একটা পালক খসে জ্যোস্নায় মনখারাপ হিমে। মাঝে মাঝে গদি মোড়া চেয়ারে বসলেও ব্যথা করে পশ্চাৎদেশে, আমি জানি আচম্বিতে […]

দু’জন খসখসে সবুজ উর্দিপরা সিপাহী কবিকে নিয়ে গেল টানতে টানতে কবি প্রশ্ন করলেন : আমার হাতে শিকল বেঁধেছ কেন? সিপাহী দু’জন উত্তর দিল না; সিপাহী দু’জনেরই জিভ কাটা। অস্পষ্ট গোধুলি আলোয় তাদের পায়ে ভারী বুটের শব্দ তাদের মুখে কঠোর বিষণ্নতা তাদের চোখে বিজ্ঞাপনের আলোর লাল আভা। মেটে রঙের রাস্তা চলে গেছে পুকুরের পাড় দিয়ে ফ্লোরেসেন্ট […]

এমনও তো হয় কোনোদিন পৃথিবী বন্ধবহীন তুমি যাও রেলব্রীজে এক- ধূসর সন্ধ্যায় নামে ছায়া নদীটিও স্থিরকায়া বিজনে নিজের সঙ্গে দেখা। ইস্টিশানে অতি ক্ষীণ আলো তাও কে বেসেছে ভালো এত প্রিয় এখন দ্যুলোক হে মানুষ, বিস্মৃত নিমেষে তুমিও বলেছো হেসে বেঁচে থাকা স্বপ্নভাঙা শোক! মনে পড়ে সেই মিথ্যে নেশা? দাপটে উল্লাসে মেশা অহঙ্কারী হাতে তরবারী লোভী […]

শিউলি ফুলের রাশি শিশিরের আঘাতও সয় না অন্তর আমার কৈশোরে তারা এ-রকমই ছিল এখন শিউলি ফুলের খবরও রাখি না অবশ্য জানি না, তারা স্বভাব বদলেছে কিনা। আমার কৈশোরে শিউলির বোঁটার রং ছিল শুধু শিউলির বোঁটারই মতন কোনো কিছুর সঙ্গেই তার তুলনা চলতো না আমার কৈশোরে পথের ওপর ঝরে পড়ে থাকা শিশির মাখা শিউলির ওপর পা […]