একটা ছিল সোনার কন্যা

একটা ছিল সোনার কন্যা মেঘ বরণ কেশ ভাটি অঞ্চলে ছিল সেই কন্যার দেশ দুই চোখে তার আহারে কি মায়া নদীর জলে পড়ল কন্যার ছায়া। তাহার কথা বলি তাহার কথা বলতে বলতে নাও দৌড়াইয়া চলি। কন্যার ছিল দীঘল চুল তাহার কেশে জবা ফুল সেই ফুল পানিতে ফেইলা কন্যা করল ভুল কন্যা ভুল করিস না ও কন্যা […]

বরষার প্রথম দিনে

বরষার প্রথম দিনে ঘন কালো মেঘ দেখে, আনন্দে যদি কাঁপে তোমার হৃদয়, সেদিন তাহার সাথে করো পরিচয়, কাছে কাছে থেকেও যে কভু কাছে নয়। জীবনের সব ভুল, যদি ফুল হয়ে যায় যদি কোনোদিন আসে জোছনার আঁচলে ঢাকা, মধুর সময়। তখন কাছে এসো, তাহাকে ভালোবেসো, সেদিন তাহার সাথে করো পরিচয়, কাছে কাছে থেকেও যে কভু কাছে […]

আমার ভাঙা ঘরে

আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা ভাঙা বেড়ার ফাঁকে অবাক জোছনা ঢুইকা পড়ে হাত বাড়াইয়া ডাকে, হাত ইশারায় ডাকে কিন্তু মুখে বলে না আমার কাছে আইলে বন্ধু আমারে পাইবা না। তুমি আমায় ডাকলা নাগো তুমি রইলা দূরে তোমার হইয়া অবাক জোছনা ডাকলো অচিন সুরে। হাত ইশারায় ডাকে কিন্তু মুখে বলে না আমার কাছে আইলে বন্ধু আমারে […]

ও আমার উড়াল পঙ্খী রে

ও আমার উড়ল পঙ্খী রে যা যা তুই উড়াল দিয়া যা আমি থাকব মাটির ঘরে, আমার চোক্ষে বৃষ্টি পড়ে তোর হইবে মেঘের উপরে বাসা… [ও] আমার মনে বেজায় কষ্ট সেই কষ্ট হইল পষ্ট দুই চোক্ষে ভর করিল আঁধার নিরাশা তোর হইল মেঘের উপরে বাসা ও আমার উড়ল পঙ্খী রে… মেঘবতী মেঘকুমারী মেঘের উপরে থাক সুখ-দুঃখ […]

আনন্দ বেদনার কাব্য

বইটির নাম ‘রিক্তশ্রী পৃথিবী’। প্রচ্ছদে একটি মেয়ের মুখের ছবি। মেয়েটি কাঁদছে। তার মুখের পাশে একটি গ্গ্নোব। একটি বিকটদর্শন নর-কঙ্কাল গ্গ্নোবটি বাঁ হাতে জড়িয়ে ধরে আছে। কঙ্কালটির ডান হাতে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। যথেষ্ট জটিলতা। পৃথিবীর রিক্তশ্রী ফুটিয়ে তোলার আয়োজনে কোনো ত্রুটি নেই। এ ধরনের প্রচ্ছদচিত্রের বইগুলোর পাতা সাধারণত উল্টানো হয় না। তবুও অভ্যাসবশেই পাতা উল্টালাম। এবং এক […]

একজন মানুষের গল্প

অনেকদিন আগে শঙ্খনীল কারাগার নামের একটি বই লিখেছিলাম। সেখানে ভালোবাসাবাসি ছিল, চোখের জল ছিল, কাজেই মেয়ে মহলে ‘লেখক’ নাম হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, বারো বছরের এক মেয়ে একটি চিঠি লিখে ফেললো। চিঠি পেয়ে সরাসরি উপস্থিত হলাম ভক্তার বাড়িতে। ভাবখানা এরকম যেন মুখোমুখি বসে আধুনিক সাহিত্য সম্পর্কে জ্ঞান দিয়ে আসব। মেয়ের মা দরজা খুলে দিলেন। […]

জলিল সাহেবের পিটিশন

তিনি হাসিমুখে বললেন, ‘আমি দুজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাবা। সেভেনটি ওয়ানে আমার দুটি ছেলে মারা গেছে। আমি অবাক হয়ে তাকালাম। ভদ্রলোকের চেহারা বিশেষত্বহীন। বয়স প্রায় ষাটের কোঠায়। সে তুলনায় বেশ শক্ত-সমর্থ। বসেছেন মেরুদণ্ড সোজা করে। চোখের দৃষ্টি তীক্ষ। চশমা-টশমা নেই। তার মানে, চোখে ভালোই দেখতে পান। আমি বললাম, আমার কাছে কী ব্যাপার? ভদ্রলোক যেভাবে বসেছিলেন, সেভাবেই […]

চোখ

আজ বাদ-আছর খেজুর কাঁটা দিয়ে মতি মিয়ার চোখ তুলে ফেলা হবে। চোখ তুলবে নবীনগরের ইদরিস। এই কাজ সে আগেও একবার করেছে। মতি মিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে বরকতসাহেবের বাংলাঘরে। তার হাতপা বাঁধা। একদল মানুষ তাকে পাহারা দিচ্ছে, যদিও তার প্রয়োজন ছিল না। পালিয়ে যাওয়া দূরের কথা, মতি মিয়ার উঠে বসার শক্তি পর্যন্ত নেই। তার পাঁজরের হাড় […]