প্রস্থান

৩৮. প্রস্থান এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷ এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷ ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷ কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে […]

প্রত্যাবর্তন

৩৭. প্রত্যাবর্তন প্রত্যাবর্তনের পথে কিছু কিছু ‘কস্ট্‌লি’ অতীত থেকে যায়। কেউ ফেরে, কেউ কেউ কখনো ফেরে না। কেউ ফিরে এসে কিছু পায়, মৌলিক প্রেমিক আর কবি হলে অধিক হারায়। তবু ফেরে, কেউ তো ফেরেই, আর জীবনের পক্ষে দাঁড়ায়, ভালোবাসা যাকে খায় এইভাবে সবটুকু খায়। প্রত্যাবর্তনের প্তহে পিতার প্রস্থান থেকে, থাকে প্রণয়ের প্রাথমিক স্কুল, মাতার মলিন […]

প্রতিমা

৩৬. প্রতিমা প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার। বেদনার করুণ কৈশোর থেকে তোমাকে সাজাবো বলে ভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরাম তুমি তার কিছু কি দেখেছো? একদিন এই পথে নির্লোভ ভ্রমণে মৌলিক নির্মাণ চেয়ে কী ব্যাকুল স্থপতি ছিলাম, কেন কালিমা না ছুঁয়ে শুধু তোমাকেই ছুঁলাম ওসবের কতোটা জেনেছো? শুনেছি সুখেই বেশ আছো, কিছু ভাঙচুর […]

পৃথক পাহাড়

৩৫. পৃথক পাহাড় আমি আর কতোটুকু পারি ? কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়, আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়। ওইটুকু নিয়ে তুমি বড় হও, বড় হতে হতে কিছু নত হও নত হতে হতে হবে পৃথক পাহাড়, মাটি ও মানুষ পাবে, পেয়ে যাবে ধ্রুপদী আকাশ। আমি আর কতোটুকু পারি ? এর বেশি পারেনি মানুষ। […]

পরানের পাখি

৩৪. পরানের পাখি পরানের পাখি তুমি একবার সেই কথা কও, আমার সূর্যের কথা, কাঙ্খিত দিনের কথা, সুশোভন স্বপ্নের কথাটা বলো,–শুনুক মানুষ। পরানের পাখি তুমি একবার সেই কথা কও, অলক্ষ্যে কবে থেকে কোমল পাহাড়ে বসে এতোদিন খুঁটে খুঁটে খেয়েছো আমাকে আর কতো কোটি দিয়েছো ঠোকর, বিষে বিষে নীল হয়ে গেছি, শুশ্রূষায় এখনো কী ভাবে তবু শুভ্রতা […]

নেত্রকোনা

৩৩. নেত্রকোনা কতো দিন তোমাকে দেখি না তুমি ভালো আছো? সুখে আছো? বোন নেত্রকোনা। আমাকে কি চিনতে পেরেছো? আমি ছিলাম তোমার এক আদরের নাগরিক নিকট-আত্মীয় আমাদের বড়ো বেশি মাখামাখি ছিলো, তারপর কী থেকে কী হলো আভাইগা কপাল শুধু বিচ্ছেদের বিষে নীল হলো। দোহাই লক্ষ্মী মেয়ে কোন দিন জিজ্ঞেস করো না আমি কেন এমন হলাম জানতে […]

নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়

৩২. নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় মিছিলের সব হাত কন্ঠ পা এক নয় । সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে, কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার । কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে অবশ্য আসতে হয় মাঝে […]

নিরাশ্রয় পাচঁটি আঙুল

৩১. নিরাশ্রয় পাচঁটি আঙুল নিরাশ্রয় পাচঁটি আঙুল তুমি নির্দ্বিধায় অলংকার করে নাও, এ আঙুল ছলনা জানে না। একবার তোমার নোলক, দুল, হাতে চুড়ি কটিদেশে বিছা করে অলংকৃত হতে দিলে বুঝবে হেলেন, এ আঙুল সহজে বাজে না। একদিন একটি বেহালা নিজেকে বাজাবে বলে আমার আঙুলে এসে দেখেছিলো তার বিষাদের চেয়ে বিশাল বিস্তৃতি, আমি তাকে চলে যেতে […]

নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী

৩০. নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো বলে মনে পড়ে একদিন জীবনের সবুজ সকালে নদীর উলটো জলে সাঁতার দিয়েছিলাম। পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো বলে একদিন যৌবনের শৈশবেই যৌবনকে বাজি ধরে জীবনের অসাধারণ স্কেচ এঁকেছিলাম। শরীরের শিরা ও ধমনী থেকে লোহিত কণিকা দিয়ে আঁকা মারাত্মক উজ্জ্বল রঙের সেই স্কেচে এখনো আমার দেখো কী নিখুঁত […]

নাম ভূমিকায়

২৯. নাম ভূমিকায় তাকানোর মতো করে তাকালেই চিনবে আমাকে। আমি মানুষের ব্যকরণ জীবনের পুষ্পিত বিজ্ঞান আমি সভ্যতার শুভ্রতার মৌল উপাদান, আমাকে চিনতেই হবে তাকালেই চিনবে আমাকে। আমাকে না চেনা মানে মাটি আর মানুষের প্রেমের উপমা সেই অনুপম যুদ্ধকে না চেনা। আমাকে না চেনা মানে সকালের শিশির না চেনা, ঘাসফুল, রাজহাঁস, উদ্ভিত না চেনা। গাভিন ক্ষেতের […]