তুমি আর নেই সে তুমি

তুমি বললে মানবতা আমি বললে পাপ বন্ধ করে দিয়েছে দেশ সমস্ত তার ঝাঁপ। তুমি বললে হিটলারি-ও জনপ্রেমে ভরা আমি বললে গজদন্ত তুমি বললে ছড়া। তুমি বললে বাঁচার দাবি আমি বললে ছুতো হামলে কেন এল সবাই দিব্যি খেত শুত। হোক না জীবন শুকনো খরা বন্ধ্যা বা নিষ্ফলা। আমি বললে সেপাই দিয়ে উপড়ে নেবে গলা। তুমি বললে […]

হাতেমতাই

হাতের কাছে ছিল হাতেমতাই চূড়োয় বসিয়েছি তাকে দুহাত জোড় করে বলেছি ‘প্রভু দিয়েছি খত দেখো নাকে। এবার যদি চাও গলাও দেব দেখি না বরাতে যা থাকে – আমার বাঁচামরা তোমারই হাতে স্মরণে রেখো বান্দাকে!’ ডুমুরপাতা আজও কোমরে ঝোলে লজ্জা বাকি আছে কিছু এটাই লজ্জার। এখনও মজ্জার ভিতরে এত আগুপিছু! এবার সব খুলে চরণমূলে ঝাঁপাব ডাঁই […]

ক্রমাগত

এইভাবে হতে থাকে ক্রমাগত কেউ মারে কেউ মার খায় ভিতরে সবাই খুব স্বাভাবিক কথা বলে জ্ঞানদান করে এইদিকে ঐ দিকে তিন চার পাঁচ দিকে টেনে নেয় গোপন আখড়ায় কিছু-বা গলির কোণে অ্যাসফল্ট রাজপথে সোনার ছেলেরা ছারখার অল্প দু-চারজন বাকি থাকে যারা তেল দেয় নিজের চরকায় মাঝে মাঝে খড়খড়ি তুলে দেখে নেয় বিপ্লব এসেছে কতদূর এইভাবে, […]

আন্দোলন

ময়দান ভারি হয়ে নামে কুয়াশায় দিগন্তের দিকে মিলিয়ে যায় রুটমার্চ তার মাঝখানে পথে পড়ে আছে ও কি কৃষ্ঞচূড়া? নিচু হয়ে বসে হাতে তুলে নিই তোমার ছিন্ন শির, তিমির। নিহত ছেলের মা আকাশ ভরে যায় ভস্মে দেবতাদের অভিমান এইরকম আর আমাদের বুক থেকে চরাচরব্যাপী কালো হাওয়ার উত্থান এ ছাড়া আর কোনো শান্তি নেই কোনো অশান্তিও না।

ভয়

ভয়? কেন ভয়? আমি খুব শান্ত হয়ে চলে যেতে পারি। তুমি বলো ভয়। দেখো চেয়ে অতিকায় আমার না-এর চৌকাঠে ছড়িয়ে আছে হাত- যে হাতে সমুদ্র, ঘন বন, জ্যোতির্বলয়ের ঘেরাটোপে শ্বাপদসুন্দর শ্যামলতা রক্তপাত, জীবনযাপন। প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর স্মৃতি শুধু, ইতিহাস আছে- তুমি আর আমি শান্ত তার প্রবাহদুয়ার রাখি খুলে। তার মাঝখানে যদি পেশি একবারও কেঁপে ওঠে, সে […]

ঝরে পড়ার শব্দ জানে তুমি আমার নষ্ট প্রভু

১. নষ্ট হয়ে যায় প্রভু, নষ্ট হয়ে যায়। ছিলো, নেই- মাত্র এই; ইটের পাঁজায় আগুন জ্বালায় রাত্রে দারুণ জ্বালায় আর সব ধ্যান ধান নষ্ট হয়ে যায়। ২. নষ্ট হয়ে যাবার পথে গিয়েছিলুম, প্রভু আমার! তুমি আমার নষ্ট হবার সমস্ত ঋণ কোটর ভরে রেখেছিলে। কিন্তু আমার অমোঘ মুঠি ধরে বুকের মোরগঝুঁটি সন্ধ্যাবেলা শুধু আমার মুখের রঙে […]

চুপ করো, শব্দহীন হও

এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো শব্দহীন হও শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর লেখো আয়ু লেখো আয়ু ভেঙে পড়ে ঝাউ, বালির উত্থান, ওড়ে ঝড় তোমার চোখের নিচে আমার চোখের চরাচর ওঠে জেগে স্রোতের ভিতরে ঘূর্ণি, ঘূর্ণির ভিতরে স্তব্ধ আয়ু লেখো আয়ু লেখো আয়ু চুপ করো, শব্দহীন হও

এজলাশ

মাতঙ্গিনী হাজরাকে আমরা গুলি করে মেরেছি ধর্মাবতার সত্যি যে, মেরেছি আসামের স্কুলছাত্রী কনকলতা বরুয়াকে ঘরের বউ ভোগেশ্বরী ফুচননি-কে- সত্যি যে, দৈবাত আমরা নারীঘাতী, অসহায়ভাবে নারীঘাতী আমরা দৈবাত্। কিন্তু ভাবুন ধর্মাবতার, ভাবুন ঐ আন্দোলনওলাদের ধাষ্টামো “ভারত ছাড়ো’ হাঁক দিয়ে কাপুরুষেরা সামনে এগিয়ে দিয়েছিল মেয়েদের আমাদের হাত কলঙ্কিত করে দেবার জন্য ভাবুন কী ঘৃণ্য সেই চক্রান্ত, ধর্মাবতার। […]

আড়াল

আমি আড়াল চেয়েছিলাম চার কিনারে । কিন্তু প্রভু ভুল কোরো না রাত্রিসকাল পথই আমার পথের আড়াল । দু-হাত তোমায় বাড়িয়ে দিইনি সে কি কেবল আত্মাভিমান ? যখন মুঠো খুলতে গেছি হাতের রেখায় দীনাতিদীন কাল রজনীর নিস্ফলতা চাবুক মারে । এখনো তো ঠিক সময় নয় তো, শরীর আমার জন্মজামিন পথিক জনস্রোতের টান তার ভিতরে এমন উজান […]

বেজে উঠলো ঢাক

এখন দূর থেকে গড়িয়ে আসে ঢাকের শব্দ এখন রাত দুপুর সপ্তর্ষির দিকে উড়ে যায় শহরের ঘর চোখের পাতায় বইতে থাকে খাল, খালের পাশে শ্যাওলাজমা মঠ নেমে আসার জমি যক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালসুপুরি জলের ওপর ভাসে আমার ছেড়ে আসা সারি বাঁধা বদর বদর ডাক বেজে উঠলো অনেক দিনের ঢাক । তখনও রাত দুপুর চোখের সামনে […]