এলেবেলে -২৫

ফ্রেণ্ড লিস্ট আবারো কাট ছাঁট করলাম …। ছোট হয়ে আসছে লিস্ট। তারপরও ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছি প্রতিদিন। রিকোয়েস্ট পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। আমার ষ্ট্যাটাসে মন্তব্যের দরজা সবার জন্য খোলা। বন্ধু না হয়েও আপনি বন্ধুর সব সুবিধা পাবেন।

বন্ধু হবার আগে একে অন্যকে জানা কি জরুরী নয় ?

রিকোয়েস্ট পাবার পর অন্তত একবার হলেও উনার সম্পর্কে জানার জন্য উনার পেইজে ঢুঁ দিয়ে আসি। আপনি না হয় আমার ষ্ট্যাটাস দেখে আমার সম্পর্কে জেনেছেন, আমি কি করে আপনাকে জানবো … !!

আলাপের আদিতে পরিচয়,তারপর সে সম্পর্ক বন্ধুত্বের দিকে গড়াতেও পারে, এমনকি আরো গভীরেও যেতে পারে। সম্ভাবনা তো থেকেই যায় ।

ফেসবুক, টুইটার এসব আসার অনেক আগে থেকেই আমি স্যোশাল মিডিয়াতে ছিলাম সেসব এস এন এসের অনেক বন্ধু আছেন। আমরা নিক নেমেই একে অন্যকে চিনি, জানি। এখনো মাঝে মাঝে তাঁদের সাথে কথা হয়। কয়েক জনের সাথে দেখাও হয়েছে। এখনো হয়। এই হচ্ছে বন্ধুত্ব।

ফেসবুক,টুইটার আগে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতাম সে গুলো হচ্ছে আই আর সি চ্যাট, ইয়াহু চ্যাট। আমি খুব একটা যেতাম না ভয়েস চ্যাট হলে এর বাংলা গ্রুপ গুলোর বেশীর ভাগই সমস্যা সংকুল ছিল), ইউনিভয়েস উইন্ডোজ এম ই, এক্স পি তে এটি ব্যবহার করা যেতো।

২০০০ সালের দিকে খুব কম সংখ্যক ব্লগিং সাইট ছিলো, বাংলায় ব্লগিং করেছি বলেও মনে পড়ছে না। তখন আমরা দেশী আড্ডা, দেশী চ্যাট নামক সাইটে ইউনিভয়েস ব্যবহার করে চ্যাটিং করতাম। আড্ডা গল্প গান কতো কিছু ছিলো। উইন্ডোজ ভিসতা আসার পর ইউনিভয়েস নির্ভর চ্যাট বন্ধ হয়ে যায় আর সেখানে স্থান করে নেয় “Visichat”। এটিও ভয়েস চ্যাট। এছাড়া Paltalk নামের ভয়েস চ্যাট ও করেছি সেখানে ফ্রীতে নিজের গ্রুপ খোলা যায়। Paltalk এ আমাদের সেতুবন্ধন নামের চ্যাট রুম ছিলো। নিজেদের মধ্যে এডমিন নিয়ে রুমের নিয়ন্ত্রনও বজায় রাখা যায়। উল্লেখিত সমস্ত এসএনএস এ টেক্সট এবং ভয়েস চ্যাট করা যায়।

রেটিং করুনঃ
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (No Ratings Yet)
Loading...
মিতা- র আরো পোষ্ট দেখুন

১১ টি মন্তব্য

  1. আমার মনে পড়ে, ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করে চ্যটিং করেছি তবে অল্প সময়। ব্লগিং এ সময় দিয়েছি অবিবেচকের মতো।

  2. দুইটা জিনিস বুঝতে পারলাম, একঃ আপনি টেকনোলজিকালি আপডেটেট।
    দুইঃ আপনি হোমরা চোমরা গোচের কেউ (কারণ আপনার অনেক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে।)

    1. জানার চেষ্টা করেছি সব সময় এটাই আসল কথা । টেকনোলজি তো আমার বা আপনার মতো মানুষেরাই তৈরী করে । শব্দনীড়ে আসলে প্রযুক্তি বিষয়ে কেউ লিখছেন না !
      আমি আসলে হোমরা নই চোমড়া কেউ নই ।খুবই সাধারন একজন মানুষ। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি যা করি মন থেকে করি । তা ভালোবাসাই হোক ঘৃনাই হোক !

  3. “আলাপের আদিতে পরিচয়, তারপর সে সম্পর্ক বন্ধুত্বের দিকে গড়াতেও পারে, এমনকি আরো গভীরেও যেতে পারে। সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।”

    শুভেচ্ছা রইলো…

Comments are closed.