আট কুঠুরি নয় দরজা-৩১

চোখ খুলল হায়দার। এখনও ভোর হয়নি। কিন্তু আকাশে লালের ছোপ লেগেছে। জানলা থেকে মুখ সরিয়ে সে তক্তপোশের দিকে তাকাল। আকাশলাল ঘুমাচ্ছে পাশ ফিরে। একদম সুস্থ মানুষের মতো ঘুমাবার ধরন। দেখতে দেখতে পাঁচ দিন হয়ে গেল এখানে। এই পাহাড়ি উপত্যকার ছোট্ট গ্রামটিতে মানুষজন কম, তাদের কৌতূহলও বেশি নয়। ভ্যানটাকে নিয়ে দলের অন্যেরা চলে গেছে আরও উত্তরে। […]

আট কুঠুরি নয় দরজা-৩২

সন্তৰ্পণে ব্যান্ডেজটা মুখে জড়িয়ে ঘরে ফিরে এল সে। একটু চিন্তা করলেই মাথার ভেতর যে কষ্টটা দপদপিয়ে ওঠে। সেটা জানান দিচ্ছে। খাটে শুয়ে সে সামনের দিকে তাকাতেই হায়দারকে দেখতে পেল। হায়দার তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অস্বস্তি হল ওর। হায়দারকে তার চেনা চেনা মনে হচ্ছে কিন্তু ঠিক ঠাওর করতে পারছিল না। হায়দার তার শক্র না বন্ধু […]

আট কুঠুরি নয় দরজা-৩৩

ঝরনার ধারে পাহাড়ের গায়ে শরীরটাকে আড়ালে রেখে আকাশলাল দাঁড়িয়ে ছিল। যে আসছে তাকে না দেখে দেখা দেওয়া উচিত নয়। নিজের বৃদ্ধিসুদ্ধি ফিরে আসছে ভেবে সে খুশি হল। একটু বাদেই শব্দ টা কাছে এগিয়ে এল। হঠাৎই আড়াল থেকে একটা ঘোড়া এবং তার পেছনে সাধারণ চেহারার গাড়ি বেরিয়ে এল যেন গাড়িটি চালাচ্ছে সেই মেয়েটি, তার পাশে একজন […]

আট কুঠুরি নয় দরজা-৩৪

জীবনলাল মাথা নেড়ে বলেছিল, শোন আঙ্কল তুমি যদি আমাদের কথাটা মনে রাখে তাহলে আমি তোমার একটা উপকার করতে পারি। আজকের রাতটা বিনা পয়সায় থাকার ব্যবস্থা হলে কেমন হয়? খুব ভাল। আমি যেখানে নিয়ে যাব সেখানে ভাল অথবা মন্দ যে-কোনও ব্যবহার পেতে পোর। যাই পাও রাতটা কোনমতে কাটিয়ে সকালবেলায় তুমি তোমার ধান্দায় চলে যেয়ো, আমি গ্রামে […]

আট কুঠুরি নয় দরজা-৩৫

ভার্গিস বসে পড়ল। তার বাঁ দিকের চিনচিনে ব্যথা শুরু হল। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটে উঠল। বিশাল মুখের চর্বিগুলো এখন তিরতিরিয়ে কাঁপছে। আকাশলাল সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভার্গিস ওই অবস্থায় বলল, একই গলা। ইয়েস। কিন্তু আমি কি করতে পারি? কিছুই না। তুমি যদি আকাশলাল হও তাহলে কবরে গিয়েও তুমি বেঁচে উঠেছা! নিশ্চয়ই। তোমার সামনে বসে আছি […]