বব ডিলানঃ এক গানের পাখির সাহিত্যে নোবেল জয়

প্রচলিত অর্থে সাহিত্যিক নন, একজন কিংবদন্তি গায়ক হিসেবেই বিশ্বজুড়ে খ্যাতি। আর ২০১৬ সালে তিনিই কি-না ছিনিয়ে নিলেন সাহিত্যের সোনার মুকুট ” নোবেল পুরস্কার “। তিনি হলেন মার্কিন জীবনমুখী গানের পথিকৃত ও রুপকার, সংগীত শিল্পী ও গীতকবি বব ডিলান, যার আসল নাম রবাট অ্যালেন জিমারম্যান। প্রথাগত সাহিত্যের বাইরে সঙ্গীত মাধ্যমে সাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টির কারণে তার এ স্বীকৃতি। সুইডিশ একাডেমী জানিয়েছে, ‘ আমেরিকার সঙ্গীত ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক দ্যোতনা ‘ সৃষ্টির জন্য ৭৫ বছর বয়সী এই রক, ফোক, কান্ট্রি মিউজিকের কিংবদন্তিকে নোবেল পুরস্কারের জন্য তারা বেছে নিয়েছেন।
বব ডিলান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় ১৯৪১ সালের ২৪ মে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা আব্রাহাম জিমারমেন ও মা বেটি ষ্টোনের পূর্বপুরুষ সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউক্রেনের ওডেসা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে এসেছিলেন। শৈশব থেকেই গানের প্রতি ছিল তার দুর্নিবার আকর্ষণ। মুখে মুখেই তিনি রচনা করতে পরেন গান, অনেকটা হাছন–লালন — নজরুলের মতো। ১৯৫৯ সালের সেপ্টেম্বরে ‘ইউনির্ভাসিটি অব ‘মিনেসোটেয়ায় ‘ ভর্তি হলেও গানের নেশায় তাকে ছাড়তে হয় পড়াশুনা। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৫৯ সালে এক কফি হাউসে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। তারপর হাতে গিটার আর গলায় হারমোনিকা ঝুলিয়ে তিনি ছুটে বেড়ান গ্রাম-নগর-জনপদ। প্রথম দিকে মার্কিন লোকশিল্পী ও চারণ কবি উডি গার্থার ও রবার্ট জনসন ছিলেন তার গুরু। তাদের গান গেয়েই তিনি শুরু করেন সঙ্গীত জীবন ; এরপর কালো মানুষদের গান ব্লুজ, ফোক, রক এণ্ড রোল আরো কত কি। অর্ধ শতকেরও বেশী সময় ধরে তিনি আমেরিকার সাংস্কৃতিক জগতকে মাতিয়ে রাখেন। এ যাবৎ তার ১০( দশ) কোটিরও বেশী রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। তিনি পাঁচ’শয়েরও বেশী গান রচনা করেন। তার ৫৮টি সিঙ্গেলস্ অ্যালবাম, ৩৫ টি ষ্টুডিও অ্যালবাম, ১১টি লাইভ অ্যালবাম , দ্য বুটলেগ সিরিজের ১০টি অ্যালবাম, ৩০ টি মিশ্র অ্যালবাম, ৩টি হোম ভিডিও এবং ১টি ফিল্মোগ্রাফি আছে। তিনি কেবল একজন গায়ক বা বাজিয়ে নন্ , তিনি একজন চিত্রশিল্পীও। ১৯৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত তার চিত্রকর্মের ৬টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে , যা বিশ্বের অনেক দেশেই প্রদর্শিত হয়েছে।
‘ ট্যারেন্টুলা ‘ নামের গদ্য কাব্যগ্রন্হ ১৯৭১ সালে প্রকাশের মাধ্যমে তার কবি প্রতিভার স্ফূরণ ঘটে। অনেকে অবশ্য এটাকে উপন্যাস হিসেবেও বর্ণণা করেছেন। অসংলগ্ন কাহিনি ও অসম্পূর্ণ বাক্যের বিরতিহীন চেতনা প্রবাহ বইটিকে জগাখিচুরী করে তোলে, যার জন্য পরবর্তীতে ডিলান নিজেও তার অস্বস্হতির কথা বলেছেন। ১৯৭৩ সালে বেরুয় তার ‘ রাইটিংস এণ্ড ড্রইংস’ গ্রন্হ। অক্টোবর, ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয় তার আত্নজীবনীমূলক গ্রন্হ ‘ ক্রোনিক্যালস্, ভল্যুম–১ ‘, যা অনায়াসেই দাবী করতে পারে সাহিত্য মর্যাদা। এতে তিনি তার যৌবনের উত্তাল সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন। এছাড়া প্রকাশিত হয় তার সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্হ ‘বব ডিলানঃ দ্য এ্যাসেনসিয়াল ইন্টারভিউ ‘ । স্পানিশ, সুইডিশ, জার্মান ও ফরাসি ভাষায় অনুদিত হয়েছে তার কবিতা। জর্জ বার্ণাড’শ’র পর তিনিই একমাত্র সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব , যিনি একই সাথে ‘নোবেল ‘ ও ‘অস্কার ‘ — দু’টিই পেয়েছেন। ‘ওয়ান্ডার বয়েজ ‘ ছবিতে ‘থিংস হ্যাভ চেঞ্জড’ নামের গান লিখে তিনি ২০০১ সালে পেয়েছিলেন ‘অস্কার ‘ । ২০০৮ সালে ‘পুলিৎজার ‘ পুরস্কারও যোগ হয়েছে তার ঝুলিতে। তিনি ১১বার ‘গ্র্যামি অ্যাওয়র্ড ‘ পেয়েছেন। মেডেল অব ফ্রিডম, লিজিয়ন ডি অনার, একাডেমী অ্যাওয়ার্ড, পোলার মিউজিক, গোল্ডেন গ্লোবসহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি জীবৎকালেই।
বব ডিলানের গান বা গীতিকবিতায় আছে দুর্বার এক আকর্ষণ, যা মানুষকে সম্মোহিত করে রাখে। তার কথা নির্ভর প্রতিটি গানই সুরকে অতিক্রম করে অনেক বেশী ধ্বণিত হয়। যুদ্ধবাজ বিশ্বমোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও যারা যুদ্ধ বিরোধী, শান্তিপ্রিয় — তিনি তাদের সবার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে ‘ কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ‘ এ পণ্ডিত রবি শংকরের উদ্যোগে তিনি গান গেয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন। তিনি গাইতেন জীবনের গান। নিজের সময়ের চলমান ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি নাগরিক গানকে করেছেন আরো প্রতিবাদী, আরো উষ্ণ, আরো উচ্চকিত। তার প্রতিটি গানই পুরানোকে অতিক্রম করে। ১৯৯৩ সালের জুনে ‘লা রেপুবলিকায় ‘ জিনো কাস্তালদো’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ” সময়ই আমাকে প্রতিটি গানের, এমনকি পুরানো গানেরও নতুন অর্থ খুঁজে নিতে বলে ” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ” সঙ্গীত অবশ্যই যে কোন সীমানা পেরিয়ে যেতে পারে “।
বব ডিলান প্রচলিত গতানুগতিকতার বাইরে এসে গণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে নিজ গানে ধারণ করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গ স্পর্শ করেন। জর্জ হ্যারিসন বলেন, ” ডিলানের গানের কথা, সুর অবিশ্বস্য রকম মৌলিক আর অভিনব “। তার গান সময়,সমাজ, জীবন, রাজনীতি, দর্শন — সব কিছুকে ছুঁয়ে যায়। তার ‘লাইক আ রোলিং ষ্টোন ‘ গানের কথাই ধরা যাক। সে ১৯৬৫ সালের কথা। যুক্তরাজ্য ট্যু’র শেষে তিনি হতাশ বদনে ভাবছিলেন, সঙ্গীত থেকে অবসর নেবেন। এমন এক মানসিক অবস্হায় হঠাৎ ১৯৬৫ সালের জুনে তিনি লিখে ফেললেন ২০ পাতার এক দীর্ঘ কবিতা। পরবর্তীতে এটি যে গান হয়ে তার ক্যারিয়ার বদলে দেবে, তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করেন নি। গানটির প্রযোজনা সংস্হা ‘ কলম্বিয়া রেকর্ডস্ ‘ গানটি দীর্ঘ হওয়ায় মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। অনেকটা দ্বিধা নিয়ে একই বছর ২০ জুলাই তারা গানটি প্রকাশ করে। অবাক করা কাণ্ড, প্রকাশের সাথে সাথেই গানটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। ডিলানের হাতে লেখা গানটি বিগত ২০১৪ সালে এক নিলামে ২০ লক্ষ ডলারে বিক্রি হয় , যা জনপ্রিয় সংগীতের পাণ্ডুলিপি বিক্রির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড। একটি বিখ্যাত সঙ্গীত ম্যাগাজিন তার এই গানটিকে তাদের ‘ সর্বকালের সেরা ৫০০ গান’ এর শীর্ষ তালিকায় রেখেছেন।
বব ডিলান মানবিকতা, প্রেম ও শান্তির বার্তাবহ এক গানের পাখি, যিনি প্রায়’শ একাকী, নিঃসঙ্গ। অনেকটা প্রশ্নের মতো করে অসহায় মানবতার কথা আমাদের বিবেকের সামনে তুলে ধরেছেন তার ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইণ্ড ‘ গানটিতে —
” কত পথ হাঁটলে তবে /
মানুষকে বলবে তুমি মানুষ ? /
কত সাগর উড়াল দিলে শ্বেত পায়রা /
পারবে ঘুমাতে বালির ‘পরে ? /
কতটা অপচয়ের পর /
চেনা যায় মানুষ ? /
প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরোওতো জানা। ” /
তিনি মানুষের ভেতরের মানুষকে খুঁজতে, বুঝতে এক চিরকালীন দার্শনিক আর্তি গণমানুষের দরবারে ছুঁড়ে দিয়ে মানুষকে জাগাতে চেয়েছেন। মানুষকে মুখোমুখি করেছেন ভেতরের মানুষের সঙ্গে। মার্কিন যুদ্ধবাজ নীতি—- যার মূলকথা অস্ত্র বিক্রী ও মোড়লীপনা, তার বিপরীতে মানবিকতার স্বপক্ষে অবস্হান নিয়ে ডিলান নিজেকে বড়ই অসহায় , একা ভেবেছেন। গানে পলায়নী মনোবৃত্তির প্রকাশ ঘটালেও বহু দূর হাঁটা এ মানুষটি তার পরিচিতাকে গান শোনাতে চেয়েছেন, গানের মাঝেই বেঁচে থাকতে চেয়েছেন –
” বিদায় পরিচিতা, /
এই বিদায়ের সুর /
চুপি চুপি ডাকে দূর বহুদূর /
দিগন্তে রয়েছে আকাশ একাই /
বিদায় পরিচিতা , /
আকাশ নিঃসঙ্গ, তার কাছে যাই। /
…….. ……… …….. ………..
…… …….. …… ………
তুমি শোনো বা না শোনো, শুধু তোমাকে শোনাই /
বিদায় পরিচিতা , /
আমি একা, আমি একাই “। /
কিন্তু বাস্তবতা হলো, নিজেকে নিঃসঙ্গ, একাকী মনে করা এই মানুষটি পরিচিতাকে বিদায় জানালেও তার পরিভ্রমণ আজো শেষ হয়নি, ” নেভার এণ্ডিং ট্যু’র ” — নোবেল কমিটি তাকে পুরস্কৃত করে তা-ই জানিয়ে দিল। অবশ্য তার পুরস্কার প্রাপ্তিতে অনেকেই নাখোশ। সাহিত্যের মূলধারার বিশ্বের তাবৎ বাঘা বাঘা কবি, প্রাবন্ধিক, কথা- সাহিত্যিককে পিছনে ফেলে বব ডিলানের মতো একজন গায়ক , গীতকবি, কণ্ঠশিল্পীকে কেন নোবেল কমিটি বেছে নিলেন ? আসলে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তার ‘ গীতাঞ্জলী ‘ কাব্যগ্রন্হের ভাবানুবাদ ‘সংগস অফারিং’ এর জন্য। গীতাঞ্জলীর সব কবিতাইতো গীতি-কবিতা তথা গান। অমিয় চক্রবর্তী বলেন, ” ” গীতাঞ্জলীতে যা আছে, তার প্রতিটিই হচ্ছে গান। গান মাত্রই সুরের অপেক্ষা রাখে, তা না হলে তার অন্তরতম ভাবরুপের পূর্ণ বিকাশ নেই। গানের মধ্যেই কবি ইচ্ছে করেই সুরের জন্য খানিকটা ফাঁক রেখে যান, সংগীত সেই ফাঁকগুলো ভরে দেয় “। (শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ — অমিয় চক্রবর্তী। পৃষ্ঠা –১১২, ১৯৯৮ ইং) । শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, গীতি কবিতার জন্য ১৯৪৫ সালে চিলির কবি গাব্রিয়েল মিস্ট্রাল, ১৯৫৬ সালে স্পেনিশ কবি জেন রেমন, ১৯৫৯ সালে ইতালির কবি সালভেদর কোয়াসিমোডো, ১৯৬৬ সালে সুইডিস কবি নেলী স্যাস সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তবে এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্যদের কবিতা সঙ্গীত হিসেবে গীত হয়নি । কারণ ঐ সব দেশে গীতি কবিতাকে গানে রুপান্তরের রেওয়াজ নেই। তারপরও তারা গীতিকবি। সে অর্থে বব ডিলানের দোষ কি? তিনিওতো একজন গীত কবি। আক্ষরিক অর্থে সরাসরি সাহিত্যচর্চা করেন নি বটে : তবে তিনি সৃজনশীল ও মননশীল কাজে সারাজীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি তার গিটার ও হারমোনিকায় সুরের মাধ্যমে মানুষের মাঝে তার দর্শন ও কাব্য সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তার অনেক গানের লিরিকই গীতিকবিতা হিসেবে অসাধারণ। এতে দর্শন ও জীবন-সৌন্দর্য এমনভাবে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে, যা তার গানের বাণীকে কবিতায় উৎকীর্ণ করে। তার গানে যে চিরকালীন উপাদান আছে, তাকে আমরা অস্বীকার করি কিভাবে? তাই যদি না হতো, তার গানের ১০ কোটি এলবাম বিক্রি হতো না! মার্কিন কবি এন্ড্রু মোশন বলেছেন, ” বব ডিলানের গানকে কবিতা হিসেবেই পড়তে হবে “। বব ডিলান তার গানের মাধ্যমে সঙ্গীতের উর্দ্ধে উঠে অসাধারণ এক চেতনার জগৎ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে আলোড়িত, উদ্ধিপ্ত করে। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘ ব্লোয়িং ইন দ্য উইণ্ড ‘ , ‘ ব্রিঙ্গিং ইট অল ব্যাক হোম ‘, ‘ এ হার্ড রেইন ইজ আ গণা ফল ‘ , ‘মাস্টার অব ওয়ার ‘ এবং ‘ দ্য টাইমস দে আর এ চেঞ্জিং ‘ একসময় মার্কিন, এমনকি বিশ্বের নাগরিক ও যুদ্ধ -বিরোধী আন্দোলনের প্রধান সঙ্গীত হিসেরে বিবেচিত হতো। ‘ দ্য টাইমস দে আর চেঞ্জিং ‘ গানটিকে সারা দানিউস তুলনা করেছেন গ্রিক কবি হোমার আর শ্যাফোর সৃষ্টিকর্মের সাথে। ডিলান সচেতনভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে, মানবতার স্বপক্ষে সোচ্চার থেকেছেন। এখানে তার সঙ্গীতের আবেদন চিরকালীন। তবে কবি হিসেবে নন, মূলত সংগীত শিল্পী হিসেবেই সাহিত্যের পুরস্কারটি ছিনিয়ে নিয়েছেন, যদিও সারা দানিউস তাকে ইংরেজী বাচনরীতির এক মহান কবি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমার মনে হয়, সঙ্গীত শিল্পী বব ডিলান নিজেও তিনি কবি কিনা, সে ব্যাপারে সন্দিহান ! পুরস্কার ঘোষণার পর তার আচরনে অন্তত তা-ই মনে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, বব ডিলানকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সুইডিশ একাডেমী প্রচলিত রীতি ভেঙ্গে নতুনত্বকে আবাহন করলো — এ যেমন স্বস্হিদায়ক, তেমনি এ শংকাও থেকে যায় যে, গান এখন সাহিত্যের অন্য মাধ্যমগুলোর প্রতিদ্বন্ধি হয়ে উঠতে পারে। সঙ্গীত সাহিত্য হতে পারে, সাহিত্য কিন্তু সঙ্গীত নয়।
———————–++++————+——-+-++-